বাবা’র সুনামটা এখনো আকাশচুম্বী। নব্বই দশকে একজন প্রবীণ প্রতিথযশা বীর মুক্তিযোদ্ধা লড়ে গেছেন বঙ্গবন্ধুর সহযোদ্ধা হিসেবে । বলছি তারুণ্যের প্রতিচ্ছবি সাহেদুল ইসলাম সাহেদের পিতা প্রয়াত সংসদ সদস্য খাদেমুল ইসলামের কথা। আলো ছড়িয়ে গেছেন ঠাকুরগাঁও জেলার সদর থেকে গ্রামের প্রান্তিক পর্যায়ে বসবাসরত সাধারণ মানুষের জন্য । মানুষকে খুব সহজেই আপন করে নিতেন। মা মাটির সাথে খুব সহজেই মিশে যেতেন তিনি । মানুষ মানুষকে ভালোবাসলে, তার জয় কেউ কখনো থামিয়ে রাখতে পারে না। পৃথিবীর ইতিহাস তাই বলে। তাইতো আপামর জনতা ভালোবেসে একটানা তিনবার মহান সংসদে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।

 

প্রয়াত খাদেমুল ইসলাম ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে ঠাকুরগাঁও-১ আসন হতে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।খাদেমুল ইসলামের মৃত্যুর পর থেকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সাহেদুল ইসলাম সাহেদ এবং তার পরিবারকে যেভাবে স্নেহ আর ভালোবাসা দিয়ে আগলে রেখেছেন, তা সত্যিই অসাধারণ। সাহেদুল ইসলাম সাহেদ তখন ঢাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের একজন শিক্ষার্থী । তারপর জননেত্রী শেখ হাসিনা সাহেদুল ইসলাম সাহেদকে জাপানে বাংলাদেশি হাইকমিশনের কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেন।

ভৌগোলিকভাবে পিছিয়ে পড়া হিমালয়ের কোল ঘেঁষে উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও জেলাটি কৃষি নির্ভর জেলা হিসেবেই বেশ পরিচিত। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ঠাকুরগাঁও জেলার অবদান অনস্বীকার্য। প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি থাকলেও, ঠাকুরগাঁও জেলার সঠিক নেতৃত্বের অভাবে অনেকটা যেনো পিছিয়ে রয়েছে ঠাকুরগাঁও জেলা। প্রয়াত খাদেমুল ইসলামের পর থেকে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে দূরদর্শী বিচক্ষণ সম্পন্ন নেতৃত্বের অভাব যেনো রয়েই গেছে। ইতিমধ্যে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে তরুণ নেতৃত্বের কথা তুলে ধরেছেন! তুলে ধরেছেন জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার কথা।

 

আমরা যদি বাংলাদেশের ইতিহাসের দিকে তাকাই তাহলে খুব সহজেই অনুমেয়, বঙ্গবন্ধুর সহযোগী তরুণ নেতৃত্বের মধ্য দিয়েই বিজয়ের পতাকা উড়েছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আনদোলন, ১৯৬৬ সালের ছয়দফা, ১৯৬৯ সালের গনঅভ্যুত্থান, এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ , কিংবা স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তরুণদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

 

আওয়ামীলীকে মনে প্রাণে লালন করায় এবং বিএনপি ক্ষমতায় আসার ফলে সাহেদুল ইসলাম সাহেদকে ২০০১ সালে কানাডায় নির্বাসিত জীবনযাপন করতে হয়। তারপর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে ২০১০ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। ২০১১ সালে সচিব হিসেবে নিউইয়র্কে যোগদান করেন। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি বাংলাদেশে ফেরেন। তারপর ঠাকুরগাঁও জেলাকে নিয়ে তার বাবার অসম্পূর্ণ কাজগুলো সমাপ্ত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কাজ করতে চান প্রবীণদের সুপরামর্শ নিয়ে। নবীনদের সাথে নিয়ে ঠাকুরগাঁও গড়তে চান বাংলাদেশের প্রথম স্মার্ট জেলা।

 

ঠাকুরগাঁও-১ আসনে এবারের মনোনয়ন প্রত্যাশি তারুণ্যের প্রতিচ্ছবি সাহেদুল ইসলাম সাহেদ। বাংলাদেশ নামক মহাকাব্যের রচিয়তার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশ গড়তে, জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে, প্রয়াত খাদেমুল ইসলামের ঠাকুরগাঁও নিয়ে তার অসম্পূর্ণ স্বপ্নগুলো সম্পূর্ণ করতে নিরলসভাবে কাজ করে যেতে চান সাহেদুল ইসলাম সাহেদ। পাশে যান নবীন- প্রবীণ সবাইকে।

 

সাহেদুল ইসলাম সাহেদ ব্যক্তি জীবনে তারুণ্যকে নিয়ে ভাবেন। ভাবেন এ দেশের মা ও মাটিকে নিয়ে। যে মাটিতে মিশে আছে ৩০ লক্ষ শহিদের রক্ত। যে মাটিতে ঘুমিয়ে আছেন তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত খাদেমুল ইসলাম। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালির স্বকীয়তাকে নষ্ট করে দিতে চেয়েছিলে। পারেনি। এগিয়ে এসেছিলো প্রয়াত খাদেমুল ইসলাম। ফলস্বরূপ ১৫ মাস কারাবরণ করেন সাহেদুল ইসলাম সাহেদের বাবা।

 

‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ হেলাল হাফিজ যেনো বন্দনা করে গেছেন সাহেদুল ইসলাম সাহেদদের। বন্ধনা করে গেছেন যৌবনের। তাইতো ঠাকুরগাঁও-১ আসনের তরুণ- যুবকদের প্রাণপ্রিয় হয়ে উঠেছে সাহেদুল ইসলাম সাহেদ। সাহেদুল ইসলাম সাহেদের মাঝেই তরুণরা স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে। লাখো লাখো তরুণদের স্বপ্নগুলো যেনো সাহেদুল ইসলাম সাহেদের হাত ধরেই আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে পূরণ হবে।

লেখক,মনিরুল ইসলাম মুকুল,

শিক্ষার্থী- ইংরেজি বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।